আম-লিচুর সাথে মধু চাষ
সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে
কামরুজ্জামান মুক্তা,বদরগঞ্জ(রংপুর)ঃ
আম-লিচুর মুকুলে মুকুলে ছেঁয়ে গেছে রংপুর বদরগঞ্জের ফলের বাগান। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে শুভাসিত ও মুখরিত গোটা অঞ্চল। মুকুলের ভাঁজে ভাঁেজ আছে কৃষকের স্বপ্ন। বিস্তৃর্ন বাগান জুড়ে চোখ ধাঁধানো মুকুলের সমারোহ, নয়নাভিরাম চিরচেনা সেই অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য যে কারোরই মনকে দোলা দেয়। এমতাবস্থায় আম-লিচু বাগানে কৃষকরা যদি বাড়তি আয়ের জন্য মৌ-চাষ করে মধু আহরন করেন,তাতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশে পুষ্টির চাহিদাও মেটানো সম্ভব।
কথা হয় উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের কুমারপাড়া এলাকার আম-লিচু বাগান চাষি মাহফুজ ওয়াহিদের সাথে তিনি জানান; সরিষার সময়ই শুধু মৌ চাষ হয়,আম-লিচু বাগানেও যে মৌ চাষ করা যায় এটা আগে কখনও মাথায় আসেনি। সাতক্ষীরা হতে আসা এক দল মৌয়ালের সাথে গত ৫দিন আগে হঠাৎ দেখা হলে তারা আমার আম-লিচু বাগানে মৌচাষের কথা বললে আমি রাজি হয়ে যাই। শুরু হয় আম-লিচু বাগানে মৌ চাষ। বাগান মালিক মাহাফুজ ওয়াহিদ আরও জানান; মূলতঃ আম-লিচু বাগানে মৌ চাষের কারনে পরাগায়ন বেশি হবে ফলনও বৃদ্ধি পাবে এটাই আমার লাভ।
সাতক্ষিরা থেকে আসা মৌয়াল মোকারম হোসেন জানান;এই লিচু বাগানে মৌমাছির বাক্স রয়েছে আড়াইশটি। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে বাক্সগুলো থেকে মধু সংগ্রহ করা হবে। চলতি মৌসুমে এই বাগান থেকে ৫০ মন মধু সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতি মন মধু বিক্রি করা হয় ৬-৭ হাজার টাকায়। এই মধু দেশের বিভিন্ন কোম্পানির চাহিদা মিটিয়ে ভারতে রফতানি করা হয়। ভারতীয় মধু কোস্পানিগুলো সস্তা দামে মধু কিনে বিদেশে রফতানি করে। অথচ মধু কেনে আমাদের কাছ থেকে। তিনি আরও জানান;এই পেশার সঙ্গে যুব সমাজের একটি বড় অংশ জড়িত রয়েছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতা না থাকায় সম্ভাবনাময় এই মধু চাষ শিল্পের তেমন কোন অগ্রসর হচ্ছে না। মধু চাষে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে এক দিকে যেমন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসত অন্যদিকে দুর হতো বেকারত্ব সমস্যা।
কথা হয় বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আমিনুল ইসলামের সাথে তিনি জানান ; আম-লিচু ক্ষেতে মৌমাছি পরাগায়নে সহায়তা করে। সারাদেশে চাষিদের যদি আম-লিচু বাগানে ফলের পাশাপাশি মধু চাষের জন্য হাতে কলমে প্রশিক্ষন দেয়া যায় তাহলে সকল কৃষকই অনেক লাভবান হবেন। তিনি আরও বলেন ; একটি জমিতে ১০৮টি কাঠের ফ্রেমে প্রতি সপ্তাহে চাষিরা ৩ মনের অধিক মধু সংগ্রহ করতে পারে ।
কথা হয় উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়ের সাথে তিনি জানান ; গত ১০ বছর আগেও বদরগঞ্জ উপজেলায় ফলের বাগান ছিল ১৫০হেঃ জমিতে। বর্তমানে তা বেড়ে ৭০০হেঃ ছাঁড়িয়ে গেছে । আম লিচুর পাশাপাশি মৌ চাষ করে কৃষকরা একদিকে যেমন নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে পারে অন্যদিকে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করতে সহযোগিতা করতে পারে ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান জানান; উপজেলার বহু আম ও লিচু বাগানে এখন মধু চাষ হচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক।
বদরগঞ্জ,রংপুর
তারিখ-৩০জানুয়ারি/১৭
মোবাইল-০১৭১৭৮৫০৯৬৪
সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে
কামরুজ্জামান মুক্তা,বদরগঞ্জ(রংপুর)ঃ
আম-লিচুর মুকুলে মুকুলে ছেঁয়ে গেছে রংপুর বদরগঞ্জের ফলের বাগান। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে শুভাসিত ও মুখরিত গোটা অঞ্চল। মুকুলের ভাঁজে ভাঁেজ আছে কৃষকের স্বপ্ন। বিস্তৃর্ন বাগান জুড়ে চোখ ধাঁধানো মুকুলের সমারোহ, নয়নাভিরাম চিরচেনা সেই অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য যে কারোরই মনকে দোলা দেয়। এমতাবস্থায় আম-লিচু বাগানে কৃষকরা যদি বাড়তি আয়ের জন্য মৌ-চাষ করে মধু আহরন করেন,তাতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশে পুষ্টির চাহিদাও মেটানো সম্ভব।
কথা হয় উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের কুমারপাড়া এলাকার আম-লিচু বাগান চাষি মাহফুজ ওয়াহিদের সাথে তিনি জানান; সরিষার সময়ই শুধু মৌ চাষ হয়,আম-লিচু বাগানেও যে মৌ চাষ করা যায় এটা আগে কখনও মাথায় আসেনি। সাতক্ষীরা হতে আসা এক দল মৌয়ালের সাথে গত ৫দিন আগে হঠাৎ দেখা হলে তারা আমার আম-লিচু বাগানে মৌচাষের কথা বললে আমি রাজি হয়ে যাই। শুরু হয় আম-লিচু বাগানে মৌ চাষ। বাগান মালিক মাহাফুজ ওয়াহিদ আরও জানান; মূলতঃ আম-লিচু বাগানে মৌ চাষের কারনে পরাগায়ন বেশি হবে ফলনও বৃদ্ধি পাবে এটাই আমার লাভ।
সাতক্ষিরা থেকে আসা মৌয়াল মোকারম হোসেন জানান;এই লিচু বাগানে মৌমাছির বাক্স রয়েছে আড়াইশটি। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে বাক্সগুলো থেকে মধু সংগ্রহ করা হবে। চলতি মৌসুমে এই বাগান থেকে ৫০ মন মধু সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতি মন মধু বিক্রি করা হয় ৬-৭ হাজার টাকায়। এই মধু দেশের বিভিন্ন কোম্পানির চাহিদা মিটিয়ে ভারতে রফতানি করা হয়। ভারতীয় মধু কোস্পানিগুলো সস্তা দামে মধু কিনে বিদেশে রফতানি করে। অথচ মধু কেনে আমাদের কাছ থেকে। তিনি আরও জানান;এই পেশার সঙ্গে যুব সমাজের একটি বড় অংশ জড়িত রয়েছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতা না থাকায় সম্ভাবনাময় এই মধু চাষ শিল্পের তেমন কোন অগ্রসর হচ্ছে না। মধু চাষে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে এক দিকে যেমন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসত অন্যদিকে দুর হতো বেকারত্ব সমস্যা।
কথা হয় বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আমিনুল ইসলামের সাথে তিনি জানান ; আম-লিচু ক্ষেতে মৌমাছি পরাগায়নে সহায়তা করে। সারাদেশে চাষিদের যদি আম-লিচু বাগানে ফলের পাশাপাশি মধু চাষের জন্য হাতে কলমে প্রশিক্ষন দেয়া যায় তাহলে সকল কৃষকই অনেক লাভবান হবেন। তিনি আরও বলেন ; একটি জমিতে ১০৮টি কাঠের ফ্রেমে প্রতি সপ্তাহে চাষিরা ৩ মনের অধিক মধু সংগ্রহ করতে পারে ।
কথা হয় উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়ের সাথে তিনি জানান ; গত ১০ বছর আগেও বদরগঞ্জ উপজেলায় ফলের বাগান ছিল ১৫০হেঃ জমিতে। বর্তমানে তা বেড়ে ৭০০হেঃ ছাঁড়িয়ে গেছে । আম লিচুর পাশাপাশি মৌ চাষ করে কৃষকরা একদিকে যেমন নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে পারে অন্যদিকে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করতে সহযোগিতা করতে পারে ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান জানান; উপজেলার বহু আম ও লিচু বাগানে এখন মধু চাষ হচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক।
বদরগঞ্জ,রংপুর
তারিখ-৩০জানুয়ারি/১৭
মোবাইল-০১৭১৭৮৫০৯৬৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন